Wednesday, June 19, 2013

নৈরাশ্যবাদী!


বিভিন্ন দিবস মানে 'বাবা দিবস' 'মা দিবস' 'ভালোবাসা দিবস' আসলেই কিছু মানুষের পেটে কৃমি কামড়াকামড়ি শুরু করে! তখন তারা বিভিন্ন স্ট্যাটাসে এমন মহা বয়ান ঝাড়া শুরু করে!

>বাবা-মাকে ভালোবাসতে বাবা-মা দিবসের কি দরকার?
>একদিন ভালোবাসা না দেখিয়ে ৩৬৪ দিন ভালোবাসা দেখান।
>বাবা-মার খোঁজ নিয়েছেন নাকি ফেসবুকেই স্ট্যাটাস দিয়েই খালাস?
>আপনার বাবা-মা কি ফেসবুক ব্যাবহার করে যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে উইশ করছেন? ব্লা ব্লা ব্লা...
এক কথায় এরা আসলে নৈরাশ্যবাদী! অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ, ভাল-খারাপ, বাল-ছাল কিছু

নিয়ে এরা সন্তুষ্ট না! শূন্য গ্লাস দেখে এই সব নৈরাশ্যবাদী ভাবে 'পানি কেউ খেয়ে ফেলেছে', এরা কখনো ভাববেই না 'হয়তো পানি এখনো ঢালাই হয়নি'।' সব কাজে দেখবেন এরা বাম পা দেবেই! নামাজের মধ্যে রিংটোন বাজানোর মত আর কি!!

আমার বাবা মাকে আমি কেমন করে ভালোবাসবো এটা আমার নিজের ব্যাপার। আমি ফেসবুকে পোস্ট করব নাকি টুইটারে পোস্ট করব এটা আপনি ঠিক করার কে মশাই? আপনার যদি এতই সমস্যা থাকে আমাকে ব্লক করেন! আর ফেসবুকে অনুভূতি শেয়ার করলেই যে ভালোবাসা কমে যায় বা ফেসবুকে উইশ করেছি জন্যই যে বাস্তবে উইশ করিনি বা খোঁজ খবর করিনি এটাই বা আপনাকে কে বলল? আপনি ফেসবুকে আলগা পার্ট নিতে আসেন বলে সবাই তো আর এমন না! আমার ধারনা এদের হিংসা হয়। লেখা পড়ে, ভালোবাসা দেখে এরা ঠিক থাকতে পারে না। তখন কমেন্ট না হয় ইনবক্সে মল-মূত্র ত্যাগ করা শুরু করে!


অনেক কথা বলে ফেললাম। আর কিছু বললে আবার অনেকের শত্রু হয়ে যেতে পারি! একটা কথা, অর্ধেক পরিমান পানিতে পূর্ণ গ্লাস দেখে নৈরাশ্যবাদীদের মত 'অর্ধেক খালি গ্লাস' না ভেবে, আশাবাদীদের মত 'অর্ধেক পূর্ণ গ্লাস' ভাবতে শিখুন। আপনার বাড়ি ফ্রান্সে না অথবা আপনার দাদা জাতে ফরাসী ছিলেন না! সবার শুভ বুদ্ধি হোক!

বোরিং লেখাকে প্রাণ দেওয়ার বিফল চেষ্টা স্বরূপ একটা কৌতুক-

একদা এক নৈরাশ্যবাদীর ভাগ্য অপ্রসন্ন হলো। কলমের কালি লেপ্টে গেল তার সদ্য-কেনা দামি স্যুটে। দাগ দূর করার যাবতীয় অধ্যবসায় তার পরিণত হলো পণ্ডশ্রমে। দাগটি আরও প্রসারিতই হলো শুধু। 

মাথায় হাত দিয়ে বসল নৈরাশ্যবাদী। ‘আমি আগেই জানতাম, কাপড়ের জাতই না এটা! কালি শুষে নেয় স্পঞ্জের মতো!’
প্রতিবেশীরা তাকে আশ্বস্ত করতে বলল, ‘এ তো নেহাতই মামুলি ব্যাপার! স্যুটটা নিয়ে যান ড্রাই ক্লিনার্সে। ওরা দাগটি দ্রুত তুলে ফেলবে।’
‘ড্রাই ক্লিনার্সের দৌড় আমার জানা আছে’, স্পষ্ট বিরক্তি প্রকাশ পেল নৈরাশ্যবাদীর কণ্ঠে, ‘কাজের কাজ করতে পারে না কিছুই; শুধু খামখা কাপড়চোপড় আটকে রাখে মাসের পর মাস...’ 

তবে উপায়ান্তর না দেখে প্রতিবেশীদের উপদেশে কর্ণপাত করবে স্থির করল সে। এক ঘণ্টা বাদেই বগলের তলায় স্যুটটি চেপে ধরে ড্রাই ক্লিনার্স থেকে নৈরাশ্যবাদী ফিরে এল। 

‘কী, দাগ দূর হয়েছে?’ প্রতিবেশীরা জিজ্ঞেস করল সহানুভূতির সুরে। 
‘হয়েছে’, কয়েক মুহূর্ত নীরব থেকে বিরস বদনে বলল নৈরাশ্যবাদী, ‘আমাদের এই পোড়া দেশে কালিও ঠিকমতো বানাতে পারে না!’

শূন্য পথিকের মূল পোস্ট>>

No comments:

ফেসবুক প্লাগইন: শূন্য পথিক by শূন্য পথিক (ফেসবুকে আমি) →ফেসবুকে অ্যাডমিন- হুমায়ূন আহমেদ ফ্যান পেজ

Post a Comment