Friday, June 28, 2013

চন্দ্র কারিগর ও জোছনা বিলাস


আমার বয়সী আর দশটা ছেলে-মেয়ে যার লেখা পড়ে জোছনা দেখা শিখেছে, তাঁর লেখা ধরেই আমারও জোছনা দেখার হাতে খড়ি।

অনেক কয়েক বছর আগের কথা। আমার বাড়ির পাশে এক ভয়ংকর বাঁশ বাগান আছে। গরমের দিন, বিদ্যুৎ নাই। মধ্য রাতে তিন জন বসে আছি। হাওয়া খাচ্ছি! শুধু শুধু তো বসে থাকা যায়

না। যা ডাব পেড়ে আন, বসে বসে খাই! যেই বলা, সেই কাজ! একজন গাছে উঠে গেল। অন্যজন ডাব কাটার সরঞ্জাম যোগাড় করল। গাছ থেকে ডাব পেড়ে তিন বন্ধু মিলে ইচ্ছা মত ডাবের পানি পান করলাম! পেটে আর একটু জাইগা নাই! অস্বস্তি লাগতে শুরু হল! একে একে তিনজনই ঘাসের উপর শুয়ে পড়লাম! শুয়ে আকাশের দিকে তাকাতেই দেখি ইয়া বড় এক চাঁদ! আজ পূর্ণিমা! খেয়ালই ছিল না! মেঘের সাথে চাঁদের লুকোচুরি চলছে! তিন জনই পাগলের মত জোছনা গিলতে থাকলাম! জঙ্গলের মধ্যে শুয়ে আছি মনেই ছিল না! কত সাপ-পোকা-মাকড়, দিনের বেলাতেই কাজ ছাড়া কেউ এ দিকে আসে না! মধ্য রাত, ঝিরিঝিরি বাতাস, বাঁশের পাতার অদ্ভুত শব্দ, মায়াবী পূর্ণিমা চাঁদ! সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থা খারাপ! আর উঠতে ইচ্ছা করে না!

এখন বুঝতে পারি সে দিন হয়ত আমরা চন্দ্রগ্রস্থ বা জোছনাগ্রস্থ হয়েছিলাম! জোছনা কারিগর বা জাদুকর যাই বলিনা কেন, তিনি আজ নেই কিন্তু এমন খন্ড খন্ড স্মৃতি গুলো এখনো অমলিন!

শূন্য পথিকের মূল পোস্ট>>

No comments:

ফেসবুক প্লাগইন: শূন্য পথিক by শূন্য পথিক (ফেসবুকে আমি) →ফেসবুকে অ্যাডমিন- হুমায়ূন আহমেদ ফ্যান পেজ

Post a Comment