Wednesday, May 8, 2013

দু'টি কবিতা এবং আমি


ছোটতে কবিতা বলতে ধারনা ছিল 'আম পাতা জোড়া জোড়া' বা 'ঐ দেখা যায় তাল গাছ' পর্যন্ত। আরেকটু বড় হয়ে বুঝলাম এগুলা কবিতা না, ছড়া নামে পরিচিত!
তখন পরিচয় হল 'বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ' অথবা 'শোন মা আমিনা রেখে দেরে জল' কবিতা গুলোর সাথে। 
কবিতা সম্পর্কে আমার সব ধারনা ভুল প্রমান করে দিল শামসুর রাহমানের "একটি ফটোগ্রাফ" কবিতাটা!

সত্যি অনেক অবাক হয়েছিলাম এই কবিতাটা পড়ে! এটা আবার কবিতা! মন দিয়ে পড়ার পর খুব খারাপ লেগেছিল।
"এই যে আসুন, তারপর কী খবর?
আছেন তো ভাল? ছেলেমেয়ে?’ কিছু আলাপের পর
দেখিয়ে সফেদ দেয়ালের শান্ত ফটোগ্রাফটিকে
বললাম জিজ্ঞাসু অতিথিকে–
‘এই যে আমার ছোট ছেলে, যে নেই এখন,
পাথরের টুকরোর মতন
ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে
বছর-তিনেক আগে কাক-ডাকা গ্রীষ্মের দুপুরে।’

কী সহজে হয়ে গেল বলা,
কাঁপলো না গলা
এতটুকু, বুক চিরে বেরুলো না দীর্ঘশ্বাস, চোখ ছলছল
করলো না এবং নিজের কন্ঠস্বর শুনে
নিজেই চমকে উঠি, কি নিস্পৃহ, কেমন শীতল।
তিনটি বছর মাত্র তিনটি বছর
কত উর্ণাজাল বুনে
কেটেছে, অথচ এরই মধ্যে বাজখাঁই
কেউ যেন আমার শোকের নদীটিকে কত দ্রুত রুক্ষ চর
করে দিলো। অতিথি বিদায় নিলে আবার দাঁড়াই
এসে ফটোগ্রাফটির প্রশ্নাকুল চোখে,
ক্ষীয়মান শোকে।

ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান
চেয়ে থাকে নিষ্পলক,তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।"


"একটি ফটোগ্রাফ" ছাড়াও এখন বিশেষ ভাবে মনে পড়ছে আহসান হাবীবের “ধন্যবাদ” কবিতাটি। অংশ বিশেষ-
"...চিঠি পরে ভেবেছি,
তাহলে
ডলি বুঝি আপনার মেয়েদের কারো ডাক নাম।
তাই তো সামান্য কিছু চকোলেটও কিনে আনলাম।
এসে দেখি-
তাই নাকি?
চকোলেটও খায় নাকি ডলি?
হতে পারে, সে যাকগে, সত্যি কথা বলি
ডলি নাম কুকুরছানার
আর তার জন্মোৎসব,
সত্যি এক ইউনিক ব্যাপার।..."

শুন্য পথিকের মূল পোস্ট>>

No comments:

ফেসবুক প্লাগইন: শূন্য পথিক by শূন্য পথিক (ফেসবুকে আমি) →ফেসবুকে অ্যাডমিন- হুমায়ূন আহমেদ ফ্যান পেজ

Post a Comment