Friday, May 10, 2013

অনুগল্পঃ পশু


বড় রাস্তা থেকে নেমে আসা একটা ছোট্ট পথ জংলার মধ্যে দিয়ে গ্রামের বট তলাতে উঠেছে। দু’ধার দিয়ে গাছ আর জঙ্গলে ভরা, বেশ নিরিবিলি, লোকজনের যাতায়াতও কম। সবাই বড় রাস্তা ঘুরে যায়। খুব অল্প সময়ে গ্রামে পৌছান গেলেও এই জংলা পথে তেমন মানুষ চলাচল করে না। 

রাস্তার পাশে ঘন জংলার ভেতর মজনু নিজেকে আড়াল করে বসে আছে। ভেতরে ভেতরে সে

খুব অস্থির, একটা বিড়ি ধরাতে পারলে মন্দ হতো না কিন্তু না বিড়ির উৎকট গন্ধ সব উল্টা-পাল্টা করে দিতে পারে। এই তো আর কিছুক্ষন, বিকেলটা গড়ালেই, রমিলা যাবে এই পথ ধরে। রমিলা বাজারের এক হাসপাতালে আয়ার কাজ করে। সন্ধার আগে আগে একটু দ্রুত বাড়ি যাওয়ার জন্য এই পথে আসে। মজনু অনেক দিন ধরেই খেয়াল করছে ব্যাপারটা। শা*ীর বয়স অল্প, দেহটাও আকর্ষণীয়। শুধু পেছন থেকে মুখটা চেপে ধরে কোনো ভাবে জংলার ভেতর টেনে নিতে পারলেই হয়...! ভাবতেই মজনুর শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠল!
মাস খানেক আগে মজনু রমিলারে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল, আপোষের প্রস্তাব! কিন্তু মা*ীর বড়ই দেমাগ! পরে এলাকার সবার সামনে বিচারে কি বেইজ্জতিটাই না হতে হয়েছিলো...! আইজ তোর দেমাগের...।


হঠাৎ মজনুর চিন্তায় ছেদ পড়ল। তার ভুল হয়নি, আজও রমিলা বড়বড় পা ফেলে এই পথে আসছে। মজনু হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়লো, ভেতর থেকে গরম নিঃশ্বাস...।. এখন মজনুকে দেখতে ঠিক মানুষের মত লাগছে না, বড়বড় চোখ দিয়ে পশুর দৃষ্টিতে অপেক্ষা করছে। সে ভুলে গেছে তার ছোট বোনও প্রায়ই এই পথে স্কুল থেকে একাএকা বাড়ি ফেরে। পশুদের এই বোধটুকু হয়তো কখনোই থাকে না!

শুন্য পথিকের মূল পোস্ট>>

No comments:

ফেসবুক প্লাগইন: শূন্য পথিক by শূন্য পথিক (ফেসবুকে আমি) →ফেসবুকে অ্যাডমিন- হুমায়ূন আহমেদ ফ্যান পেজ

Post a Comment